১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ- ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

অপরূপ গাজনার বিল

নদ-নদী বিধৌত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা হলো পাবনা জেলা। এ জেলার সঙ্গেই সংযোগ রয়েছে (পাবনা-নাটোর) দেশের সবচেয়ে বড় বিল চলনবিল। তবে এককভাবে আরেকটি বিল রয়েছে যা রীতিমতো দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করছে। বিলটির নাম গাজনার বিল।

সৌন্দর্যপিপাসু মানুষের মনের খোরাকও ভালোভাবেই জোগান দিচ্ছে গাজনার বিল। এ বিলটি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় অবস্থিত। সুজানগর উপজেলার প্রায় ১০টি ইউনিয়নজুড়েই এ বিল অবস্থিত। বর্ষার মৌসুমে এ গাজনার বিলটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়। পাবনা জেলার ঐতিহ্যবাহী একটি বিল হলো বিল গাজনা বা গাজনার বিল। এখন ভরা শ্রাবণ মাস চলছে। গাজনার বিলেও পানি আসতে শুরু করেছে।

প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক সেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন। পাবনার এই অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গাজনার বিলে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা ভরা বর্ষায় ঘুরতে আসেন। যতদূর চোখ যায় শুধু আকাশ আর বিলের স্বচ্ছ নীল পানি। মাঝে মাঝে দু-চারটি গাছ মাথা উঁচু করে আছে। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির দেখা পাবেন এখানে। এখানে রয়েছে আকাশ আর পানির মিতালি।

বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিনই এখানে পর্যটকদের নৌ-ভ্রমণে মুখরিত হয়ে ওঠে। প্রতি বছর বর্ষার মৌসুম এলেই গাজনার বিল নতুন পানিতে থইথই করে। এ পানি থাকে পৌষ মাস পর্যন্ত। বর্ষার শুরু থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত দীর্ঘ এ সময় শত শত সবুজ শ্যামল গ্রাম বেষ্টিত বিশাল বিস্তৃত ওই গাজনার বিল সত্যই অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়।

যেভাবে যাবেন: পাবনা থেকে ঢাকা রোডে চিনাখোড়া নামক স্থানে নেমে সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে কয়েক মিনিটেই আপনি পৌঁছাতে পারবেন খয়রান ব্রিজে। সেখান থেকে দুপাশে তাকালেই আপনি মুগ্ধ হবেন। নৌকায় ঘুরতে চাইলে ঘণ্টাব্যাপী অথবা দিনব্যাপী আপনাকে ভাড়া করতে হবে। আশপাশে থাকার ভালো সুব্যবস্থা নেই। তবে পাবনায় ফিরে থাকতে পারবেন। কারণ দূরত্ব খুব বেশি নয়। যোগাযোগের মাধ্যমও ভালো।

শেয়ার করুন :