৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ- ১২ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে হানাদার বাহিনী

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ এর নামে ঢাকাসহ সারাদেশে ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। নারকীয় সেই হত্যাযজ্ঞে জাতি আজও শোকাহত।

একাত্তরের মার্চের দিনগুলোতে যখন আন্দোলনে উত্তাল, তখন ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে। সেদিন মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে ঘুমন্ত-নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগসহ সারাদেশে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় শহীদ হন ছাত্র-শিক্ষক, পুলিশ ও সেনা সদস্যসহ হাজারো নিরপরাধ মানুষ। তাদের আত্মদানের পথ ধরেই দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।

বাঙালি জাতি এই দিনটিকে জাতীয়ভাবে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্মরণ করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী দিয়েছেন। সারা দেশের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরিসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ওই দিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল ১০টায় অথবা সুবিধাজনক সময়ে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সেমিনারও অনুষ্ঠিত হতে পারে।

সাধারণত ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে সারাদেশে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৩১ মিনিট (১ মিনিট) প্রতীকী ব্ল্যাক আউট (কেপিআই/জরুরি স্থাপনা ব্যতীত) পালন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাগুলোতে কোনো অবস্থাতেই ২৫ মার্চ রাতে আলোকসজ্জা করার নিয়ম নেই।

শেয়ার করুন :